ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান করার নিয়ম

 

ই পর্চা খতিয়ান জমির খুব প্রয়োজনীয় একটি ডকুমেন্ট জমির মালিক অনুসন্ধান করার জন্য এটার প্রয়োজন হয় । আজকে আমরা এই আর্টিকেল থেকে কিছু বিষয়ে জানব । দুই থেকে তিন বছর আগেও বাংলাদেশের ব্যবহার করা হতো হাতে লেখা ই খতিয়ান যা অনুসন্ধান করতে চাইলে ভূমি মন্ত্রণালয়ে অফিসে না গিয়ে অনুসন্ধান করা যেত না ।

ই পর্চা


 তবে এখন সবকিছু আধুনিক হওয়ার সাথে সাথে পর্চা খতিয়ান হয়েছে আধুনিক এবং ডিজিটাল।এখন আমরা চাইলে ঘরে বসে মোবাইলের সাহায্যে মাত্র পাঁচ মিনিটে খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারি।

পেজ সূচিপত্র:ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান 

ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান করার নিয়ম 

কি পর্যায়ে খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য সাধারণ কিছু তথ্য প্রয়োজন হবে । আপনারই  ই পর্চা খতিয়ান যদি ইতিমধ্যে অনলাইন করা হয়ে থাকে। তাহলে আপনি ভূমি মন্ত্রণালয়ে ওয়েবসাইট থেকে মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে কিছু তথ্য দিয়ে এই পর্যায়ে খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারবেন । কিন্তু আপনারই পর্যায়ে খতিয়ান যদি অনলাইন করা না থাকে তাহলে আপনার ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে তা অনুসন্ধান করতে পারবেন না । 

এমনকি ডাউনলোড করতে পারবেন না । অনলাইন এই পর্যায়ে খতিয়ান অনুসন্ধান করতে হলে আগে এ পর্যায়ে খতিয়ানটি অনলাইন করার জন্য আবেদন করতে হবে। অনলাইন করার নিয়ম নিতে দেওয়া হল 

ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য সাধারণ কিছু তথ্য। যেমনঃ

  • বিভাগ- জেলা- উপজেলা- মৌজা 
  • খতিয়ানের ধরন একই নিয়মে যে কোন খতিয়ান ডাউনলোড করতে পারবেন 
  • কি পর্যায়ে খতিয়ান নাম্বার 
  • জমির দাগ নাম্বার এবং মালিকের নাম 
  • কোন মৌজার জমি এবং দাগ নাম্বার 

আরও পড়ুনঃ কারি পাতার ব্যবহার

ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য প্রথমেই যেতে হবে বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইটে  https://www.eporcha.gov.bd/এ সেখান থেকে সার্ভে খতিয়ান অপশন টিকে বাছাই করতে হবে।

সার্ভে খতিয়ান অপশনে ক্লিক করার পরে সেখানে থেকে আপনার বিভাগ খুঁজে নিন। অবশ্যই আপনার জমি যে বিভাগে আছে সেই বিভাগ বাছাই করতে হবে ।

আপনার বিভাগ নির্বাচন করার পর জেলা নির্বাচন করার অপশন আসবে। সেখান থেকে আপনার জেলা নির্বাচন করুন ।

পূর্বের মতোই আপনার জেলা নির্বাচন করার পর উপজেলা নির্বাচন করার অপশন আসবে সেখান থেকে আপনার উপজেলা নির্বাচন করু...

এখানে আপনার খতিয়ানের ধরন নির্বাচন করুন আমাদের দেখানোর নিয়ম অনুসরণ করে। সেখানে থাকা সব ধরনের খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারবেন আপনি যেই খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চান সেটা এখান থেকে বাছাই করুন ।

খতিয়ানের ধরন বাছাই করার পর আপনার মৌজা বাছাই করুন।এক্ষেত্রে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার মৌজা কোথায় এবং কোনটি তারপর বাছাই করুন ।

শেষে খতিয়ান তালিকা অপশনে আপনার এই পর্চা নাম্বার দিয়ে খুঁজুন বাটনে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পরে আপনার খতিয়ানটির তথ্য দেখতে পারবেন ।

খতিয়ান নাম্বার দিয়ে অনুসন্ধান করে না পেলে অধিক তার অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করুন ।তারপর জমি মালিকের নাম এবং দাগ নাম্বার দিয়ে খুঁজে বাটনে ক্লিক করলে ই পর্চা খতিয়ান তথ্য দেখতে পাবেন। 

ই পর্চা খতিয়ান কি বা ই পর্চা খতিয়ান সেবা কি

বর্তমানে দেশের সকল জমির রেকর্ডের অনুলিপি অনলাইনে সংগ্রহ করা যায় এটিকে বলা হয় ই পর্চা। পূর্বের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মচারী বড় বড় রেকর্ড বই থেকে তথ্যসমূহ পূর্ব নির্ধারিত ছকে পূরণ করে সেবা গ্রহিতাকে সরবরাহ করতেন। এজন্য সেবা গ্রহীতা কে যেমন সরকারি উপস্থিত হতে হতো তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মচারীরাও গতানুগতিক পদ্ধতিতে পর্চা তৈরি  করতেন।
ই পর্চা

বর্তমানে এটি ইজ এবার আওতায় আশাতে সেবা গ্রহীতা গণ দেশ-বিদেশে যে কোন স্থান থেকে নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে ই পর্চা সংগ্রহ করতে পারবেন। এই পর্চা খতিয়ান হলো নথি বর্তমানে ইলেকট্রনিক্স ভাবে ঘরে বসে যে পর্যায়ে সেবা পাওয়া যায় বা দেওয়া হয় সেটাকেই ই পর্চা খতিয়ান বল।

আগেকার সময় ই পর্চার জন্য আমাদের অনেক ঝামেলা পোহাতে হতো।তারপরেও অনেক সময় পাওয়া যেত না ।প্রয়োজনে এই খতিয়ানের কপি বর্তমানে আর এই সমস্যা নেই।এখন ঘরে বসে এই নথি সংগ্রহ করা যায় এই পর্চা সার্ভিসের মাধ্যমে তাছাড়া এখন অনলাইনে পর্যায়ের জন্য আবেদন করা যায়, দাগ নাম্বার খতিয়ান নাম্বার বা মালিকের নাম লিখে সার্চ করে বের করে নেওয়া যায় জমির তথ্য । 

আরও পড়ুনঃঅনলাইন করে ইনকাম

ভূমি রেকর্ডঃ ই পর্চা জমির খতিয়ান ডিজিটাল সংরক্ষণ হিসেবে কাজ করে। এটি ভূমির মালিকানা সীমানা শর্তাবলী এবং অন্যান্য তথ্য সহজে প্রমাণ করতে সাহায্য করে ।

অনলাইন সেবাঃ ই পর্চা সিস্টেমের মাধ্যমে আপনি এখন আপনার জমি খতিয়ান বা ভূমির সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য অনলাইনে পরীক্ষা করতে পারবেন । আগে শুধুমাত্র ভূমি অফিসে সরাসরি গিয়ে পাওয়া যেত ।

অধিকার সংক্রান্ত তথ্যঃই পচা ব্যবহার করে জানতে পারবেন যে জমির মালিক কে জমির আকার অবস্থা জমির নাম বর্গফুট বিক্রয় বা বন্দোবস্ত সংক্রান্ত তথ্য 

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টঃ ই পর্চা কোনদিন সাধারণত ভূমির সংক্রান্ত লেনদেন মামলা বা বিক্রি তাদের জন্য প্রয়োজন হতো তাই এটি জমির মালিকের বৈধ অধিকার নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট ।

অনলাইনে খতিয়ান বের করার নিয়ম 

বর্তমানে প্রায় সব ধরনের খতিয়ান অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে নিচের লিংকে ক্লিক করে এবং প্রয়োজনীয় অপশন গুলো করুন ও সার্চ করে আপনার খতিয়ান যাচাই করুন ।সার্চ করার পূর্বে নিজে লিখিত সার্চ করার পদ্ধতি পড়ুন ।

যাচাই পদ্ধতিঃ

  • প্রথমে বিভাগ ঘর থেকে আপনার বিভাগ যাচাই করুন।
  •  এরপর জেলা ঘরে ক্লিক করলে আপনার বিভাগের অধীন সকল জেলা দেখতে পাবেন আপনার জেলায় ক্লিক করুন।
  •  উপজেলার ঘরে ক্লিক করলে আপনার জেলা সকল উপজেলার নাম দেখতে পাবেন আপনার উপজেলার নাম ক্লিক করুন। 
  • এরপর মৌজা ঘরে ক্লিক করলে আপনার উপজেলার যে সকল মৌজায় খতিয়ান চূড়ান্ত হয়েছে সে সকল মৌজার নাম দেখতে পাবেন। আপনার জমিটি যে মৌজায় অবস্থিত সেই মৌজার নামে ক্লিক করুন ।

মোট চার ভাবে সার্চ করে আপনার জমির খতিয়ান যাচাই করতে পারবেন 

  • খতিয়ান নাম্বার জানা থাকলে খতিয়ান নাম্বার দিয়ে সার্চ করে ।
  • দাগ নম্বর জানা থাকলে দাগ নাম্বার দিয়ে সার্চ করে ।
  • জমির মালিকের নাম জানা থাকলে জমির মালিকের নাম দিয়ে সার্চ করে এবং 
  • জমির মালিকের পিতা বা স্বামীর নাম জানা থাকলে জমির মালিকের পিতা স্বামীর নাম দিয়ে সার্চ করে।

এই চার মাধ্যমেই প্রত্যেকটির বাম পাশে একটি ছোট গোল ঘর বা বৃত্ত রয়েছে ।উপরের চার পদ্ধতির এ পদ্ধতিতে আপনি সার্চ করতে চান ,তার বাম পাশের গোল ঘরে মাউস দিয়ে ক্লিক করুন ।এরপর উপরে চার পদ্ধতির মধ্যে আপনি যে পদ্ধতিতে ক্লিক করছেন তার ঠিক নিচে একটি ছোট বক্সটি আসবে ,বক্সটি পূরণ করুন অর্থাৎ খতিয়ান নম্বর সিলেক্ট করে থাকলে খতিয়ান নম্বরটি বক্সে লিখুন ,দাগ নম্বর সিলেক্ট করে থাকলে দাগ নম্বরটি বক্সে লিখুন, মালিকের নাম সিলেক্ট করে থাকলে মালিকের নাম বক্সে লিখুন, মালিকের পিতা/ স্বামীর নাম সিলেট করে থাকলে পিতা /স্বামীর নাম বক্সে লিখুন ।

এরপর নিচে দুটি সংখ্যার যোগ করতে বলা হবে ।সংখ্যা দুটি যোগ করে যোগফল নিচের বক্সে লিখুন ।সর্বশেষ "খুঁজুন "অপশনে ক্লিক করুন। 

এভাবেই অনলাইনে ঘরে বসে ই পর্চা খতিয়ান দেখতে পারবেন। 

কিভাবে ই পর্চা খতিয়ান পাওয়া যাবে 

পর্চা বা খতিয়ান পাওয়ার জন্য অনেক জায়গা রয়েছে। তবে এ পর্যায়ে অনলাইন ছাড়া পাবেন না।কারণ ইলেকট্রনিক্স পর্চা নামের আগেই যুক্ত করা হয়েছে তবে আপনি আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে শুরু করে আপনার জেলার ডিসি অফিস পর্যন্ত আপনার পর্চা পাবেন আর সেটাকে প্রিন্ট পর্চা বলা হয়।

মূলত সবগুলো একই জিনিস বা নথি কারণ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে হলেও এর কাজ একই।ই পর্চা হল একটি ডিজিটাল নথি যা মূলত ভূমি বা জমির মালিকানা ও অন্যান্য ভূমি সংক্রান্ত তথ্য ডিজিটাল প্রদর্শন করে। এটি বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি ডিজিটাল সেবা যার মাধ্যমে জমির খতিয়ান। মালিকানা রেকর্ড জমির সীমানা তথ্য এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট তথ্য অনলাইনে পাওয়া যায়। 

অনলাইনে ই পর্চা খতিয়ান বের করার নিয়চ

জমির কাগজপত্র খুঁজে বের করা একটি জটিল কাজ যা মানুষকে বিরক্ত করে দেয়। পূর্বে জমি খতিয়ান বের করার জন্য তহসিল অফিসে গিয়ে সিরিয়াল দিয়ে বের করতে হতো ।তবুও পাওয়া দুষ্কর ছিল বর্তমানে সবকিছু ডিজিটাল হওয়ার কারণে এখন জমির খতিয়ান বের করতে সিরিয়াল দিতে হয় না ।এখন অনলাইনের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি জমির খতিয়ান বের করার পদ্ধতি বা অনলাইনের মাধ্যমে জমির খতিয়ান বের করা সহজ পদ্ধতি ।

অনলাইনে খতিয়ান বের করার নিয়মাবলী ঃ

  • eporcha.gov.bd ঠিকানায় প্রবেশ ।
  • খতিয়ান অপশন নির্বাচন করুন ।
  • খতিয়ান বা পর্চা অনুসন্ধান ।
  • খতিয়ান বা পর্চার জন্য আবেদন । 
  • খতিয়ান বা পর্চা ডাউনলোড করে।

আপনি যদি জমির খতিয়ান বের করতে চান তাহলে আপনার কিছু বিষয় আগে থেকে জানা থাকতে হবে। আর এ বিষয়গুলো হল বিভাগ,জেলা,উপজেলা জমির মৌজা খতিয়ান নাম্বার দাগ নাম্বার মালিকের নাম ইত্যাদি উক্ত বিষয়গুলো জানা থাকলেও আপনি সহজেই পাবেন জমির খতিয়ান বের করতে বা  সাটিফাইড জন্য আবেদন করতে।

জমির খতিয়ান বের করার জন্য আপনাকে কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে ।নিম্নে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হলো। কিভাবে খতিয়ান  বের করা যায় বা অনলাইনে মাধ্যমে জমির খতিয়ান বের করার সহজ পদ্ধতি । 

আরও পড়ুনঃ ই পর্চা খতিয়ান বের করার নিয়ম

Eporcha.gov.bd এই ঠিকানায় প্রবেশ

আপনি যদি জমির খতিয়ান বা পচা অনলাইনে বের করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে যে কোন একটি ব্রাউজার ওপেন করে নিতে হবে। আর সেখানে গিয়ে আপনাকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট  eporcha.gov.bd লিখে প্রবেশ করতে হবে ।

 খতিয়ান অপশন নির্বাচন করুন

উপরের ঠিকানায় প্রবেশ করার পর আপনার সামনে নিচের পেজটি চলে আসবে ।এই পেজের উপরে সার্ভে খতিয়ান অপশনটি সিলেক্ট করে সার্ভে খতিয়ান অনুসন্ধান অপশনটির একটি কলাম যথা ভাবে পূরণ করতে হবে ।বিভাগের নাম, জেলার নাম, উপজেলার নাম, খতিয়ানের ধরন মৌজার নাম এবং সব শেষ খতিয়ানের তালিকায় অপশনে ক্লিক করুন। 

 খতিয়ান বা পর্যায়ের অনুসন্ধান 

উপরের পেজটির খতিয়ান তালিকার নিচে খতিয়ান অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করলেই নিচে পেজটি চলে আসবে ।

উপরের পেজে আপনার খতিয়ান বা পর্যায়ে বিস্তারিত দেখার জন্য বিস্তারিত বাটনে ক্লিক করে নিচের ফরমেট মত বিস্তারিত দেখতে পাবেন ।

 খতিয়ান পাবার জন্য আবেদন 

উপরের পেজের নিচে খতিয়ান আবেদন বাটনে ক্লিক করলে নিচে আবেদন ফরমটি চলে আসবে ।

উক্ত ফর্মটি যথাযথভাবে পূরণ করে আবেদনের ধরন তথ্য আপনি কি খতিয়ানের অনলাইন কপি চান তা সার্টিফাইড কপি চান সেটা সিলেক্ট করুন এরপর ফ্রি পরিশোধের মাধ্যমে সিলেক্ট করুন ।সর্বশেষে দুটি সংখ্যার যোগফল প্রদান করে পরবর্তী ধাপে বাটনে ক্লিক করুন।

খতিয়ান বা পর্চা ডাউনলোড 

উপরের ফর্মে আপনার যদি পরিচয় পত্র নাম্বার, জন্ম তারিখ এবং মোবাইল ফোন নাম্বার দিয়ে যাচাই বাটনে ক্লিক করলে আপনার নাম ও ঠিকানা চলে আসবে।এভাবে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই হয়ে যাবে এরপর আবেদনের ধরন সিলেক্ট করুন অর্থাৎ আপনি কি অনলাইন কপি না সাটিফাইড কপি চান তাহলে নির্ধারণ করুন ।

অতঃপর ফ্রি পরিশোধের মাধ্যমে সিলেক্ট করে দুই সংখ্যার যোগফল প্রদান করুন ।এর পারফরমের নিচে পরবর্তী ধাপ ফ্রি পরিশোধ বাটনে ক্লিক করে ফ্রি পরিষদের মাধ্যমে আপনার আবেদন সম্পন্ন হবে এবং আপনি খতিয়ান অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন এবং প্রদত্ত ঠিকানায় খতিয়ানের সার্টিফাইড কপি চলে  যাবে।

বি এস পদ্ধতির খতিয়ান

বাংলাদেশের সর্বশেষ যে জরিপ ১৯৯৮ থেকে ১৯৯৯ সালে অনুষ্ঠিত হয় ।সেটার কাজ এখন চলমান রয়েছে ঢাকা অঞ্চলে এটা মহানগর জরিপ হিসেবে পরিচয় লাভ করে ।

বি এস খতিয়ানের ৯ টা কলাম থাকে এবংজমির ধরন কি তা উল্লেখ থাকে । যেমন চাষের জমি, পুকুর ইত্যাদি জমির মালিকানা বের করার প্রয়োজন হয়। কেন জমি ক্রয় করার আগে ক্রয়কারীকে অবশ্যই মালিকানা যাচাই করে নিতে হবে কেননা বাংলাদেশে প্রতারকের অভাব নেই। নকল মালিক সেজেও জমি বিক্রয় করার প্রতারণা করতে পারে অনেকই । এছাড়াও জমি জমা নিয়ে বিরোধ মামলা করার ক্ষেত্রেও জমির যাচাই করা প্রয়োজন হয় ওয়ারিশদের প্রাপ্ত সম্পত্তি বন্টন করার আগেও মৃত ব্যক্তির মালিকানা যাচাই করা প্রয়োজন হতে পারে। কেননা অন্য কারো জমি দাপুটে ভোগ দখল করার নজির আমাদের দেশে আছে। জমির মালিকানা যাচাই করার নিয়ম বর্তমানে আপনি দুই ভাবে জমির মালিকানা যাচাই করতে পারবেন। যেমন ঃ

  • কোন খতিয়ান সম্পর্কে যদি আপনার সম্ভব হয় তাহলে খতিয়ানটি নিয়ে সেটেলমেন্ট অফিসে গিয়ে খতিয়ান ভলিউম দেখুন ।
  •  খতিয়ান কি আপনার জমির দাগ ভলিয়মের সাথে মিল থাকলে খতিয়ান কি সঠিক নচেৎ জালিয়াতি করা হয়েছে অনলাইনে জমির মালিকানা যাচাই ও খতিয়ান বের করার নিয়ম ।ডিজিটাল এই যুগে ভূমি সংক্রান্ত সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে কোথাও না কোথাও  নিজের বাসায় বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জমির মালিকানা যাচাই করা যেকোনো খতিয়ান বের করা যায় খুব সহজে।

বি এস পদ্ধতিতে খতিয়ান বের করার নিয়ম 

বি এস খতিয়ান কিভাবে পাওয়া যাবে বি এস খতিয়ান বের করার নিয়ম বেশ খতিয়ান বা পর্চা কোথায় পাবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক ।বি এস খতিয়ান কপি কোথায় কিভাবে পাওয়া যাবে।

বি এস খতিয়ান হল জমির মালিকানা ও বিবরণ সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ খতিয়ান পাওয়ার জন্য প্রথমেই স্থানীয় ভূমি অফিস বা ভূমিকেন্দ্র পরিদর্শন করতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের অনলাইন পোর্টাল থেকে বিএস খতিয়ান ডাউনলোড করা সম্ভব ।অনলাইনে খতিয়ান পেতে ওয়েবসাইটে আপনার জেলা ,উপজেলা ,ইউনিয়ন, মৌজা এবং খতিয়ান নাম্বার সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে খতিয়ান সংগ্রহের সময় মূল কাগজপত্র যাচাই এবং সংশ্লিষ্ট ফ্রি পরিশোধ করতে হবে ।

সি এস , এস এ , আর এস, বি এস খতিয়ান বা পচা বের করার নিয়ম 

সবার কাছে প্রয়োজনীয় একটি সম্পদ হচ্ছে জমি আপনার জমি নেই অনেক জমি রয়েছে তবুও জমি ক্রয় করার আগ্রহ আপনার আছে তাই আজকের আলোচনা হবে মাল জমির মালিকানা বের করার উপায় বা খতিয়ান বের করার নিয়ম বা অনলাইনে জমির মালিকানা যাচাই 

বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমি সেবায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ফলে যে কেউ এখন অনলাইনে জমি মালিকানা যাচাই করা কিংবা মোবাইলে জমির খতিয়ান বের করতে পারবে ।

সি এস খতিয়ান 

এই উপমহাদেশে সর্বপ্রথম যে জরিপ হয় সেটাই হচ্ছে সিএস খতিয়ান এই জরিপ ১৮৮৭ সালে শুরু হয়ে ১৯৪০ সালে শেষ হয় এই জরিপ কক্সবাজারের রামুতে শুরু হয় এবং দিনাজপুরে শেষ হয় জরিপ চলাকালে সিলেট আসাম প্রদেশ এর সাথে সংযুক্ত এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জমিদারি প্রথার সাথে বাঙ্গালীদের বিরোধ থাকায় এই দুটি অঞ্চল সিএস জরিপের আওতায় আনা হয় নাই সুতরাং হচ্ছে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম জরিপ এবং এর খতিয়ান কি সিএস খতিয়ান বলা হয় এই খতিয়ান উপর থেকে নিচ লম্বালম্বি ভাবে হয় একদম উপরে বাংলাদেশ ফ্রম নাম্বার ৫৪৬৩ লিখা থাকে 

এস এ খতিয়ান 

১৯৫০ সালে জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাতন্ত্র আইন পাস হয় আইন পাসের পর তৎকালীন সরকার জমিদারি অধিগ্রহণ সাব্যস্ত করেন এই সময় সরকারি আমিন গন সরজমিন অর্থাৎ মাঠে না গিয়ে অফিসে বসে সিএস পদ্ধতি সংশোধন করে খতিয়ান তৈরি করে এটাকে এস এ খতিয়ান বলে কোন কোন অঞ্চলে এর খতিয়ানকে টেবিল খতিয়ান বা ৬২ খতিয়ান বলা হয় সরেজমিন না গিয়ে পরিচালনা করা হয় বলে এই খতিয়ানের অনেক ধরনের অসমতা দেখা দেয় এই খতিয়ান সাধারণত এক পৃষ্ঠায় হয়ে থাকে কখন প্রিন্ট হয় না অর্থাৎ হাতে লেখা খতিয়ান হচ্ছে এস এ খতিয়ান 

আর এস খতিয়ান 

পিএস খতিয়ান সম্পূর্ণ হওয়ার ৫০ বছর অতিক্রম করে আর আর এস জরিপ শুরু হয় আগের খতিয়ানের ভুল সংশোধন করে এতটাই স্বচ্ছ করা হয় যে মালিকানা দখলদার বিরোধ কিংবা কয় বিক্রয় করার ক্ষেত্রে এটির ওপর নির্ভর করতে হয় 

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই জরিপ পরিচালনা করা হয় বলে এই খতিয়ান কে বাংলাতে খতিয়ানও বলা হয়। আর এস খতিয়ান সিএস খতিয়ানের মত লম্বালম্বি দাগ টানা থাকে তবে এটি এক পৃষ্ঠায় হল হয়। 

বি এস খতিয়ান 

১৯৯৮ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত চলমান জমি যদি থেকে প্রস্তুতকৃত নথিকে বি এস খতিয়ান বলা হয়। ১৯৯৮ সালে ঢাকা মহানগর ভূমি জরিপের মাধ্যমে এই খতিয়ানের উদ্ভব হয়।বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমি জরিপ চালু আছে এবং এই জমি জরিপের মাধ্যমে বি এস খতিয়ান প্রস্তুত হয়।

যদি আপনি খতিয়ান নাম্বার বা জমির মালিকের তথ্য খুঁজে বের করতে চান তাহলে আপনাকে কয়েকটি পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে। জমির মালিকানা সম্পর্কিত তথ্য সাধারণত ভূমি অফিস বা ই-পর যা সিস্টেমের মাধ্যমে পাওয়া যায় আর যদি আপনি কোন কিছুই না জানেন তবে হতাশার কারণ নেই। সবকিছু একটা সমাধান আছে আপনাকে কষ্ট করে কোন স্থানীয় মহরিরের কাছে যেতে হবে এবং উনার কাছ থেকে আপনি আপনার নির্দিষ্ট জমিতে দাগ নাম্বার জেনে নিতে পারবেন এবং আপনি পরবর্তী কার্ড অনলাইন থেকে কাগজ বের করে নিতে পারবেন। 

বাংলাদেশ সরকার ভূমি মন্ত্রণালয়ের ই পর্চা সিস্টেমের মাধ্যমে আপনি সহজেই জমির মালিক খুঁজে বের করতে পারেন। এই পদ্ধতিতে অনলাইন নিয়ে জমি খতিয়ান এবং মালিকের তথ্য দেওয়া যায় এজন্য আপনাকে নিজের পদক্ষেপ করে অনুসরণ করতে হবে ।

  • আপনার এলাকা জমি রেকর্ড নাম্বার 
  • জমির মৌজার নাম জমির সীমানা বা বিভাগের নামটি অনুসন্ধান করুন 
  • প্রাপ্ত তথ্যের মাধ্যমে জমির মালিকের নাম জমির পরিমাণ সীমানা ইত্যাদি জানা যাবে 

যদি আপনি অনলাইনে ই পর্চা খুঁজে না পান।তবে আপনি আপনার এলাকার ভূমি অফিসে সরাসরি গিয়ে জমির মালিক সম্পর্কিত তথ্য জানতে পারেন ।ভূমি অফিসে গিয়ে আপনি খতিয়ান নামজারি বাবু আমি রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে জমির মালিকানা তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন ।ভূমি অফিসে গিয়ে নিম্নলিখিত তথ্য প্রদান করতে হবে ঃ

  • জমির রেকর্ড নাম্বার 
  • জমির মৌজা ও ঠিকানা 
  • জমি কত নাম্বার খতিয়ানের 
  • জমির মালিকানা 

নামজারি তথ্যঃ নামজারি তথ্য হলো জমি মালিকানা বদল বা নতুন মালিকের নাম যুক্ত করা আপনি যদি পুরাতন বা নতুন নামজারী সম্পর্কিত তথ্য জানতে চান তবে নাম জারি রিপোর্টের মাধ্যমে জমির মালিকের নাম জানা সম্ভব ।

রেজিস্ট্রেশন অফিসের মাধ্যমে ঃযদি জমি ক্রয় বিক্রয়ের মাধ্যমে পরিবর্তন হয়ে থাকে তবে আপনি রেজিস্ট্রেশন অফিসের থেকে জমির মালিকানা পরিবর্তন রেকর্ড দেখতে পারেন। এইভাবে আপনি জমির মালিকানা তথ্য খুঁজে বের করতে পারবেন তবে তথ্যপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা প্রক্রিয়া থাকতে পারে ।

স্থানীয় পরামর্শ ঃযদি আপনি জমির মালিকের নাম নিশ্চিত না করতে পারেন। তবে আপনার এলাকার বড় ভাই স্থানীয় প্রতিনিধিদের কাছ থেকে জানতে পারেন তারা আপনাকে মালিকের নাম বা জমির ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে সাহায্য করতে পারে ।

দাগ নম্বর দিয়ে খতিয়ান বের করার উপায় 

বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি অনলাইন সেবা প্রদান করে যা দিয়ে আপনি সহজেই ভূমির খতিয়ান বা দাগ নাম্বার দিয়ে মালিকের তথ্য খুঁজে বের করতে পারবেন।এই পর্চা সিস্টেম লগইন করে সাইটে গিয়ে আপনার জেলা উপজেলা মৌজা এবং দাগ নাম্বার প্রদান করুন সঠিক তথ্য প্রদান করলে আপনার মালিকানা তথ্য প্রদর্শিত হবে ।

অনুসন্ধান করে আপনি জমির দাগ নাম্বার দিয়ে খতিয়ান বা মালিকের তথ্য পেতে পারবেন যেমন মালিকের নাম জমির পরিমাণ সীমানা ইত্যাদি আপনি আপনার খতিয়ান অনলাইনে পেতে পারেন।

ই পর্চা খতিয়ান সম্পর্কে আমার মন্তব্য

 ই পর্চার খতিয়ানের মাধ্যমে যে কোন জমির দাগ নাম্বার খুব সহজেই পাওয়া যায় ।এই পর্চা সিস্টেম লগইন করে সাইটে গিয়ে আপনার জেলা উপজেলা মৌজা এবং দাগ নাম্বার প্রদান করুন সঠিক তথ্য প্রদান করলে আপনার মালিকানা তথ্য প্রদর্শিত হবে । ই পর্চা খতিয়ানের ফলে জমির যে কোন জটিলটা সহজেই সমাধান করা যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বৃষ্টি ২৪ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url