১ মিনিটে কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম

কারেন্ট বা বিদ্যুৎ আমাদের জীবনে অতি একটি প্রয়োজনীয় বিষয়। আমাদের বাসা বাড়িতে আমরা কি পরিমান বিদ্যুৎ ব্যবহার  করছি আর কি পরিমান বিল দিচ্ছি তা কি কখনো ভেবে দেখেছি ।তাই আজ আমি এটি সহজে কারেন্ট বিল বের করার নতুন কৌশল বা নিয়ম সম্পর্কে জানাবো তাহলে চলুন নিচে আপনাদের খুব সহজেই কিভাবে কারেন্ট বিল বের করার যায় তা বিস্তারিত আলোচনা করি--

সূচিপত্র: কারেন্টের বিল বের করার সঠিক পদ্ধতি ও নিয়ম 

কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম

আপনার তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি ছোট বাসা আছে। বাসায় তিনটি শয়ন কক্ষ, একটি বৈঠকখানা , দুইটি গোসলখান, দুইটি বারান্দা, একটি রান্নাঘর আছে এবং বাড়িটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে ।বিদ্যুৎ কোম্পানির কার্যালয় থেকে মাস শেষে ইলেকট্রিসিটি বিল আসার আগেই আপনার বাড়ির কারেন্ট বিল এর একটি আনুমানিক হিসাব তৈরি করতে চান এবং সেটা করতে চান নির্ভুলভাবে তাহলে কিভাবে তা করতে চান । কিভাবে করবেন তা নিয়ে আর চিন্তা নাই ----

আপনি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার না হলেও অন্যান্য বিষয় পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী হলেও খুব সহজেই তা বের করতে পারবেন ।এই হিসাব চলুন দেখা যাক কিভাবে করা যায় কারেন্ট বিল বের করা ।তবে হিসাবে প্রস্তুতি নেওয়ার আগে ছোটখাটো কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জানা খুবই দরকার ----যেমনঃ

  •  ট্যারিফ বা( Tariff)
  • বিদ্যুৎ ব্যবহারের একক

ট্যারিফ বা Tariff

খুব সহজেই ভাবে বললেই এই অর্থ হলো কোন জিনিসের মূল্য ধাপ অনুযায়ী নির্ধারণ করা । 

উদাহরণ দেইঃ মনে করুন মাস শেষে দেখা গেল আপনার ব্যবহৃত বিদ্যুতের পরিমাণ ৫১০ ইউনিট এসেছে।বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ব্যবহারের বর্তমান মূল্য ধাপ(tariff) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এর প্রজ্ঞাপন ২০২০ অনুযায়ী ।

০---৫০ ইউনিট ----৩. ৭৫ টাকা (ব্যবহার না করলেও দিতে হবে)

০---৭৫----------৪.১৯

৭৬--২০০------৫.৭২

২০১--৩০০---------৬.০০

৩০১---৪০০------------৬.৩৪

৪০১---৬০০------------৯.৯৪

৬০০----- অধিক ১১.৪৬ টাকা 

তাহলে আপনার ৫১০ ইউনিটের খরচ পাঁচটি ধাপে হিসাব হবে এইভাবে 

৭৫*৪.১৯= ৩১৪.২৫  , ১২৫*৫.৭২=৭৫০  , ১০০*৬=৬০০  ১০০*৬.৩৪=৬৩৪   ১১০*৯.৯৪=১০৯৩.৪
=৩১৪.২৫+৭৫০+৬০০+৬৩৪+১০৯৩. ৪
=৩৩৯১.৬৫ টাকা 

শুধুমাত্র বিদ্যুতের মূল্য এটাই ট্যারিফ (tariff)।

বিদ্যুৎ ব্যবহারের একক 

সময়ের একক হল সেকেন্ড তেমনি ব্যবহৃত বিদ্যুতের একক হল কিলোওয়াট বা আওয়ার অর্থাৎ ব্যবহৃত বিদ্যুতের পরিমাণ কিলোওয়াটে হিসাব করতে হয় এবং কতক্ষণ ধরে খরচ হলো সে সময়কে ঘন্টায় হিসাব করতে হয় ।

1000 watt=1 kilowatt 

উদাহরণঃ 763 ওয়াট হলে হিসাব করতে হবে 763÷100=0.763 kw আবার যদি 30 মিনিট হয় তাহলে 30÷60=0.5 hour 

বিদ্যুৎ ব্যবহার না হলে তার একক শুধুমাত্র ওয়াট পরিমান অনেক বেশি হলে তাকে কিলোওয়াট বা মেগাওয়াটে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। 

এক কথায় 1000 watt বা 1 kw এর কোন বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি যদি এক ঘন্টা চলে তাহলে এক ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয় এটাই হল বিদ্যুতের একক বা এক কিলোওয়াট 

ব্যবহৃত সকল ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক জিনিসপত্রের বিদ্যুৎ গ্রহণের এবং খরচের একটি ক্ষমতা আছে সেটা তার গায়ে অবশ্যই what এককে লেখা আছে 

এবার চলুন আপনার বাড়ি বিদ্যুৎ বিলের মাসিক হিসাবটি করে দেখি 

বাড়ির তিনটি কক্ষে তিনটি ৪৫ ওয়াটের বাতি প্রতিদিন গড়ে সাত ঘন্টা করে চলে 

তিনটি 100w ওয়াটের পাখা প্রতিদিন করে ৬ ঘন্টা চলে 

দুইটি 1744w এর এসি প্রতিদিন গড়ে ১২ ঘণ্টা করে চলে 

একটি 120 w এর টেলিভিশন প্রতিদিন করে পাঁচ ঘন্টা করে চলে 

একটি 1119 w এর পানির মোটর প্রতিদিন ১.৫ ঘন্টা চলে 

একটি 140w  এর রেফ্রিজারেটর প্রতিদিন ১০ ঘন্টা চলে 

একটি 1000w স্ত্রী প্রতিদিন গড়ে ১৫ মিনিট বা ১৫\৬০=০. ২৫ ঘন্টা চলে 

রান্নাঘর দুইটি গোসলখানা দুইটি বারান্দা ও বাইরের সহ ছয়টি 20 w  এর বাতি দৈনিক গড়ে ৪ ঘণ্টা করে চলে

এক ইউনিট বিদ্যুতের দাম কত 

বর্তমানে ডিজিটাল যুগে বিদ্যুতের চাহিদার  কোন  নেই । বাংলাদেশে এখন প্রত্যেক ঘরে ঘরে গ্রামে কিংবা অঞ্চলে রয়েছে বিদ্যুৎ। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি খাত রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিদ্যুৎ। বিদ্যুতের চাহিদা আগে তুলনায় অত্যাধিক বাড়ার কারণে সমপরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। সাধারণত এক ইউনিট বিদ্যুতের দাম কত হতে পারে তা এই প্রতিবেদনে আপনাদের আমি জানাব।

আবাসিক ক্ষুদ্র শিল্প নির্মাণ, শিল্প রাস্তার বাতি, বাণিজ্যিক অফিস ইত্যাদি প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আলাদাভাবে বিদ্যুতের ইউনিট এবং দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ।বিদ্যুতের বিল সাধারণত বর্তমান থাকে তা জানার জন্য তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ।

এক ইউনিট বিদ্যুতের দাম 

আপনারা ইতিমধ্যে হয়তো অবগত যাচ্ছেন যে বর্তমানে বিদ্যুতের কতটা সংকট হয়েছে ।বাংলাদেশ সেই পরিমাণ বিদ্যুতের চাহিদা যে অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না এবং আরো হয়তো অবগত আছেন যে বাংলাদেশের প্রতি নিয়তই বিদ্যুতের দাম উঠানামা করছে ।কিন্তু আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না এক ইউনিট বিদ্যুতের দাম কত হয়ে থাকে। সাধারণত এটি না জানার কারণে অনেকের হতে পারে যে প্রতি ইউনিটে আমরা বিদ্যুতের দাম কত দিচ্ছি । 

যদি এই বিষয়টি সবার জানা থাকে তাহলে আপনার নিজের মিটার চেক করে আপনি নিজেই বিদ্যুৎ বিল কত আসে তা সহজে বুঝতে পারবেন ।চলুন জেনে নেয়া যাক এক মিনিট বিদ্যুতের দাম মূলত কত টাকা হয়ে থাকে ।যদিও বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ করা হয় আলাদা আলাদা জায়গাভিত্তিক করে । তাই সব কিছু বিস্তারিত জানার জন্য আমার এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে সঠিক তথ্যটি জেনে নিন ।

বিভিন্ন শ্রেণীর গ্রাহকের মধ্যে বিদ্যুতের দাম বিভিন্ন রকমের হয় ।সাধারণত আমাদের দেশের জ্বালানির মূল্য এবং চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচের মূল্য বাড়ার কারণে বিদ্যুতের ঘাটতির কারণ ।প্রতিনিয়তই প্রতি ইউনিটের দাম বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ ২৯ শে ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিদ্যুতের প্রতি ইউনিট মূল্য বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে বিদ্যুতের ইউনিট গ্রাহকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন হবে।গ্রাহকের ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম  বাড়িয়ে ৪ টাকা ৬৩ পয়সা করা হয়েছে ।এটা শুধু আবাসিক গ্রাহকের মধ্যে ৫০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারী গ্রাহকের জন্য প্রযোজ্য ।

বাসা বাড়ির প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম কত 

উপরের অংশ থেকে হয়তো আপনার আইডিইয়া মধ্যে বিদ্যুতের ইউনিট প্রতি দাম সম্পর্কে অবহিত  হয়েছেন। বাসা বাড়িতে যারা সাধারণত ০ থেকে ৫০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিটের বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ৪ টাকা ৬৩ পয়সা এবং যারা ০ থেকে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকেন ।তাদের জন্য ৫ টাকা ২৬ পয়সা পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এবং তার দ্বিতীয় ধাপে ৭ টাকা ২০ পয়সা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের খরচ হচ্ছে ৬ টাকা ২০ পয়সা যা এখন বিক্রি হচ্ছে গড়ে ৪ টাকা ৮২ পয়সা করে ।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিল ইউনিট প্রতি কত 

বাংলাদেশে এখন বিদ্যুৎ সংকটের ভয়াবহতা রয়েছে ।দেশে প্রায় ৯৯.৮% মানুষ বর্তমানে প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছে এখন এমন কোন জায়গা নেই যেখানে বিদ্যুতের ছোঁয়া পায়নি। দেশ দেশান্তরে গ্রাম গ্রাম অঞ্চলে এবং অঞ্চল ভিত্তিতে অজপাড়া গায়েও এখন বিদ্যুতের বাতি দেখা যায় ।

যে পর্যায়ে বিদ্যুৎ খরচ করা হচ্ছে তদ্রূপ যে পরিমাণ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না ।বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ইউনিট প্রতি পুনরায় মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে এখন প্রায় প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ৬ টাকা ২০ পয়সা খরচ হয়ে থাকে। কিন্তু এখন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিল ২০২৫ তা বিক্রি করা হচ্ছে ৪ টাকা ৮২ পয়সা ।

বিদ্যুৎ বিলের নতুন মূল্য তালিকা

প্রজ্ঞাপন জানতে বলা হয়েছে আবাসিক গ্রাহকদের মধ্যে ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারী বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট ৩.৯৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪.১৪ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে এবং ৭৫ ইউনিট বিদ্যুতের ব্যবহারকারী ৬০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৬০ টাকা ৬২ পয়সা পর্যন্ত করা হয়েছে। ৭৩ থেকে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের ৬ টাকা ১৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৪০ পয়সা পর্যন্ত করা হয়েছে ।

এবং কি যারা আবাসিক ভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকে ত্রিপুরা থেকে ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ খরচ করে থাকে অন্য ৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে ৬ টাকা ৯৯ পয়সা পর্যন্ত করা হয়েছে এবং যারা ৪০০ থেকে ৬০০ ইউনিটের জন্য টাকা ১০ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা ৯৬ পয়সা পর্যন্ত করা হয়েছে যারা ৬০০ ইউনিটের উপরে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকে তাদের বিল ১২ টাকা ৪ পয়সা থেকে বেড়ে ১২ টাকা ২০ পয়সা পর্যন্ত করা হয়েছে ।

আবাসিক বিদ্যুৎ বিল ইউনিট কত 

ইতিমধ্যে আপনারা জেনেছেন বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন ভিত্তিতে ইউনিটের দাম কত। এখন আপনাদেরকে জানাবো আবাসিক বিদ্যুৎ বিল প্রতি ইউনিট কত? যারা সাধারণত স্থায়ীভাবে বসবাস করে এবং ২০০ থেকে ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকে। তাদের জন্য প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য হবে ৫ টাকা ৭০ পয়সা এবং ৩০০থেকে ৪০০ ইউনিট বিল আসবে প্রতি ইউনিট প্রতি ৬ টাকা ২০ পয়সা করে ।

যারা আবাসিকভাবে আরো বেশি ইউনিট খরচ করে থাকে ৪০০ থেকে ৬০০ ইউনিট পর্যন্ত তাদের বিল এর হার হবে ৯ টাকা ৩০ পয়সা পর্যন্ত এর বেশি হলে ইউনিট প্রতি বিল হবে ১০ টাকা ৭০ পয়সা পর্যন্ত অর্থাৎ বিদ্যুতের ব্যবহার সীমিত রাখলে বিল ও কম আসবে ।

বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ ইউনিট এর দাম সাধারণত বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ ইউনিট বলতে বুঝায় যে বড় বড় অফিস আদালত কিংবা ফ্যাক্টরির ক্ষেত্রে যে সকল বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয় তাহাকে বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ বলা হয়। বাণিজ্যিক ও অফিসের ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৩০ পয়সা। এছাড়া অস্থায়ী ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে প্রতি ইউনিট ১৬ টাকা করে প্রদান করতে হয়। 

বিদ্যুৎ বিল হিসাব করা হয় 

অনেকভাবেই বাসা বাড়ির বিদ্যুতের বিল হিসাব করা হয় বা ক্যালকুলেটর ক্যালকুলেশন করা হয়। চলুন জেনে নেই কিভাবে একটি ভাষার বিদ্যুৎ বিল ক্যালকুলেশন করা হয় ।

একটি ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর বিল কত হতে পারে। নতুন ফ্রিজ নিবেন অথবা পুরাতন ফ্রিজ নিয়ে হয়তো চিন্তিত আছে মাস শেষে ফ্রিজের জন্য অতিরিক্ত কত বিল গুনতে হবে তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য মনোযোগ সহকারে পড়ুন উপকৃত হন।

একটি ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের বিল কত হতে পারে 

১০ থেকে ১৫ সেফটি বা ২৮০ থেকে ৪২০ লিটার রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ সাধারণত ৩০৮ এর হয়ে থাকে। কোন রেফ্রিজারেটরের কত পাওয়ার নেই তা এই নেমপ্লেটের উল্লেখ থাকে ।এখানে ৩০০ ওয়াটের একটি ফ্রিজ কি পরিমান পাওয়ার খরচ করে এবং মাসে কি পরিমাণ বিল আসতে পারে । 

একটি ফ্রিজে সাধারণত ২৪ ঘন্টার 6 ঘন্টা কম্প্রেসার চালু থাকে বাকি আঠারো ঘণ্টায় ফ্রিজের কম্প্রেসার বন্ধ অবস্থায় থাকে । তবে ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে একসময় ভিন্ন হতে পারে।  ফলে একদিনে ছয় ঘন্টা এক মাসে ৬*৩০=১৮০ ঘণ্টা

তাহলে ওই ফ্রিজের এক মাসের মোট বিদ্যুৎ খরচ দাঁড়ায় ,

W=৩০০×১৮০ ওয়াট -ঘন্টা=৫৪০০০ওয়াট -ঘন্টা=৫৪ ইউনিট 

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিলের বিভিন্ন স্টেপ অনুযায়ী সর্বোচ্চ বিলের হার ১১ টাকা এবং সর্বনিম্ন হার ৪.১৯ টাকা ।তাহলে ওই ফ্রিজে সর্বোচ্চ মাসিক বিল ৫৪×৪.১৯=২২৭টাকা

রাইস কুকারে বিদ্যুতের খরচ কেমন এবং বিল হিসাব কিভাবে করবেন 

আধুনিক সুবিধা পাওয়ার আশায় আমরা যখন রাইস কুকার ব্যবহারের কথা চিন্তা করি তখন আমাদের মাথায় আশেপাশে একটি খরচেরই কথা মনে হয় তা হলো বিদ্যুৎ বিল।  তাহলে দেরি কেন আসুন রাইস কুকার ব্যবহারে বিদ্যুতের খরচ কেমন হতে পারে তা সম্পর্কে জানায় ।

বাসা বাড়িতে যে ধরনের রাইস কুকার ব্যবহার হয় এমন একটি রাইস কুকার সাধারণত ৭৫০ থেকে ১৫০০ ওয়াটের হয়ে থাকে ।এখানে হিসাবের সুবিধার্থে আমরা ১০০০ ওয়াটের রাইস কুকার ধরে নিব ।

১০০০ ওয়াটের একটি রাইস কুকার এক ঘন্টা চালালে বা এক কিলোওয়াট ঘন্টা এনার্জি খরচ করে থাকে এক ইউনিট বিদ্যুৎ বলা হয় ।এক ইউনিট বিদ্যুতের দাম বিভিন্ন রকম হতে পারে কারণ এক মাসে মোট কত ইউনিট খরচ হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে এর দাম ৪.১৯ টাকা থেকে ১১ টাকা পর্যন্ত হতে পারে ।

এক ইউনিট বিদ্যুতের দাম সর্বোচ্চ ১১ টাকা এটি ধরে হিসাব করলে যে বিল আসবে সেটি হবে রাইস কুকারের সর্বোচ্চ বিল ।ধরুন একটি রাইস কুকার দিনে ২.৫ ঘন্টা চলে তাহলে মাস শেষে ইলেকট্রিক বিল কত হবে তা হিসাব করব ।

মোট ইউনিট 

(২.৫ ×৩০×১০০০÷১০০০)

=৭৫ ইউনিট 

সুতরাং একমাসে ব্যস্ত করে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ বিল ৭৫×১১=৮২৫টাকা 

এবং এক মাসের রাইস কুকারের সর্বনিম্ন বিদ্যুৎ বিল ৭৫×৪.১৯ টাকা=৩১৪.২৫টাকা 






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বৃষ্টি ২৪ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url